বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যারা কুমারীত্ব হারান, তাদের অনেকেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তা ফিরিয়ে আনেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই এই অস্ত্রোপচার চলে।
এ ধরনের অস্ত্রোপচার সাধারণত গোপনেই করা হয়ে থাকে। সে কারণে কোন কোন দেশে এ ধরনের অস্ত্রোপচার হয়, তা বলা মুশকিল।
তবে ব্রিটেনে এই অস্ত্রোপচারের বিরুদ্ধে নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, কুমারীত্ব ফেরানো অস্ত্রোপচার করা অপরাধ।
কুমারীত্ব কী?
নারীদের যৌনাঙ্গের মুখের দিকে একটি ঝিল্লির মতো পর্দা থাকে। যাকে বলা হয় সতীচ্ছদ। সাধারণ মানুষের ধারনা, শুধু যৌন মিলনের ফলেই এটা ছিঁড়ে যায় বা ফেটে যায়। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, আরও অনেক কারণে সতীচ্ছদ ফেটে যেতে পারে। যেমন- সাইকেল চালালে, গাছে ওঠার অভ্যাস থাকলে, দৌড়ঝাঁপের সময়, খেলাধুলার সময়ও ফেটে যেতে পারে।
সতীচ্ছদের পর্দা ফের আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার পোশাকি নাম ‘হাইমেনোপ্লাস্টি’।
সম্প্রতি ব্রিটেনের একটি স্বাস্থ্য বিলের সংশোধনীতে বলা হয়েছে, নারীর ইচ্ছা বা অনিচ্ছা যাই হোক, হাইমেনোপ্লাস্টি বেআইনি বলে গণ্য হবে। গত বছর জুলাইতেই এই আইন আনার অঙ্গীকার করে ব্রিটেন সরকার। সে সময় থেকেই চিকিৎসক, নার্স এবং এ নিয়ে প্রতিবাদীরা এই অস্ত্রোপচারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানায়। এই নতুন আইন সেই সকল নারীদের সাহায্য করবে যাদের পরিবার দিনের পর দিন হাইমেনোপ্লাস্টি করার জন্য চাপ দিতে থাকে।
রয়্যাল কলেজ অফ অবস্টেট্রিসিয়ান অ্যান্ড গাইনোকলজির প্রেসিডেন্ট ড. এডওয়ার্ড মরিস বলছেন, চিকিৎসা শাস্ত্রের নীতিতে হাইমেনোপ্লাস্টি কোনওভাবেই ন্যায়সঙ্গত নয়। কুমারীত্ব পরীক্ষা এবং তথাকথিত কুমারীত্ব ফেরানোর এই শল্য চিকিৎসার বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরেই প্রচার চালাচ্ছেন তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।